বঙ্গবন্ধুর সাহসী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরই এনে দিয়েছে স্বাধীনতা — শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাহসী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর এনে দিয়েছে বাঙালির স্বাধীনতা। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের কারণেই শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন বাঙালির নেতা। বঙ্গবন্ধু ছেলেবেলা থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন। তিনি আজীবন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য প্রতিবাদ, আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত করেছেন, প্রতিষ্ঠা করেছেন শোষণমুক্ত অর্থনৈতিক বাংলাদেশ।
শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে যোগ্যতা দিয়ে টিকে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ চলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে প্রমাণ করেছেন, করোনা মহামারি মধ্যেও একটি দেশকে কিভাবে তার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হয়। আর তাই সকলকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার দেখানো উন্নয়নের রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিকে পুঁজি করে একশ্রেণির সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, এদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সকল সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশন শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি করছে। এছাড়া, বিটাক ও এনপিও সরকারি-বেসরকারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানে কারিগরি সহায়তাসহ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৪১ সালে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আরো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে শিল্পমন্ত্রী, শিল্প প্রতিমন্ত্রী, শিল্পসচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ লবিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত করেন। অত:পর সম্প্রসারিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন শেষে পরিদর্শন করেন।