প্রধান মেনু

দেশে সাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তাররোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে — ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, জাতির পিতা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রচার প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ দেশে যাতে কোনো সাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে কঠোর নজরদারি করার দায়িত্বও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নিতে হবে।

আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের প্রচার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে জাতির চরম সংকটময় মূহুর্তে আলেম সমাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ, আলেম সমাজকে আর্থিক সহায়তা প্রেরণ, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা, করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের যাকাতের অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সর্বমহলে প্রশংসা পেয়েছে এবং দেশবাসীর কাছে আরো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সাথে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিচ্যুতি ঘটে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ১০০টি বইয়ের শিরোনাম সম্বলিত বুকলেটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্ম  বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ  ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য  বেগম রত্না আহমেদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অভ্‌ গভর্নরসের গভর্নর এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরীসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।