প্রধান মেনু

স্বাধীনতা সড়ক দুই দেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে –স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

মেহেরপুর, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) : মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত নির্মিত স্বাধীনতা সড়কটি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আজ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে নির্মিত ‘স্বাধীনতা সড়ক’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ।

এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ খান মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্টজন এবং দেশি-বিদেশি সংবাদকর্মীরা ভারতের কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে এ সড়কে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় আসেন যা এখন মুজিবনগর হিসেবে পরিচিত। এখানেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। শপথ নেন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ। বাংলাদেশের ইতিহাসে রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম। এই সড়কটি দুই দেশের মধ্যকার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রী।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়কটি পরিদর্শন করে এর কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সড়কটির কাজ শেষ করা হয়েছে। এজন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিসহ এ কাজে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এসময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সড়কটির উদ্বোধন করবেন।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, মুজিবনগরের স্মৃতি রক্ষার্থে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।