প্রধান মেনু

কওমী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার– ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের সকল  জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, এদেশের এক বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত রয়েছে। এ ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নের সাথে যুক্ত করতে তাঁদের সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে বর্তমান সরকার মাস্টার্সের সমমান দিয়েছে। অন্যান্য স্তরের ডিগ্রির বিষয়ে ও সরকার কাজ করছে।এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বিষয়েও সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ  করছে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতুল কাওমিয়া বাংলাদেশ এর ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের খেদমতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  সরকার প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করছে। এর মধ্যে মুজিববর্ষে ১০০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার আল কুরআন ডিজিটাইজেশন (আল কোরআন : ডিজিটাল), ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সুবিধা চালু করেছে। হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিগণ অনলাইনে হজের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারছেন। গধশশধয জড়ঁঃব ওহরঃরধঃরাব ঋৎধসবড়িৎশ-এর আওতায় সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন হচ্ছে। জেদ্দা হজ টার্মিনালে ‘বাংলাদেশ প্লাজা’ স্থাপনসহ ঢাকা আশকোনা হজ ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থান, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা এবং কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, কওমী শিক্ষার্থীদের দাওরায়ে হাদীস সনদকে মাস্টার্স সমমান প্রদান, ১০০০টি বেসরকারি মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ৮০টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালুকরণ, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে প্রধানমন্ত্রী ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতাপূর্ণ  দায়িত্ব পালন করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর বিশেষ দূত মোঃ আবুল কালাম আজাদ।