প্রধান মেনু

রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ সকল শিল্প কারখানা পুনরায় চালু করা হবে– শিল্পমন্ত্রী

ছাতক (সুনামগঞ্জ), ২৬ ফাল্গুন (১১ মার্চ) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো শিল্প কারখানা বন্ধ হবে না, আর বন্ধ সকল শিল্প কারখানা পুনরায় চালু করা হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে, কোনো শ্রমিকের চাকুরি যাবে না। কারখানা লাভজনক করতে কর্মকর্তা, শ্রমিক, কর্মচারী সকলকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সিলেট সুনামগঞ্জের শিল্পায়নে সকলকে কাজ করতে হবে। শিল্পায়নের জন্য সুনামগঞ্জ অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন করা হবে। এ অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এ অঞ্চলের শিল্প সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী আজ সুনামগঞ্জে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোঃ এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। এতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, এসপি মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই সিলেট সুনামগঞ্জ শিল্প প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ। সে কারণে দেশে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ এলাকায় শ্রমিকরা এসে কর্মসংস্থান পেয়েছে। ২০৪১ সালে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত আয়ের দেশে উন্নতিতে সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলের শিল্প কারখানা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে নয়। শ্রমিক নেতাদেরও সাধারণ শ্রমিকদের ন্যায় কাজ করতে হবে। শ্রমিক নেতাদের কারখানার কোনো নিয়োগ বাণিজ্য না করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ওভারটাইম না করে ভাতা নিবেন না। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে শ্রমিক নেতাদের আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে।

পরে, শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এর কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্লিংকার কারখানা স্থাপিত হবে। এর মাধ্যমে বিদ্যমান সিমেন্ট কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ন্যূনতম ১৫ বছর ধরে রাখা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৯০ কোটি টাকা।