প্রধান মেনু

বিটাকে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও অবিসংবাদিত নেতা

ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (১০ মার্চ) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আমরা করোনা মহামারি জয় করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আজ দেশের অর্থনীতিতে জোয়ার এসেছে। দেশের কৃষক শ্রমিকরা কেউ ঘরে বসে নেই, সবাই কাজ করছে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ যে জায়গায় পৌঁছেছে, প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে টিকে থাকতে হলে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই তৈরি করতে হবে কল-কারখানার খুচরা যন্ত্রাংশ। বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর মাধ্যমেই তৈরি করতে হবে দেশের সবচেয়ে বড় ইঞ্জিনিয়ারিং শপ এবং উৎপাদিত হবে কল-কারখানার খুচরা যন্ত্রাংশ।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় তেজগাঁও বিটাক প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)-এর প্রশাসনিক ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা এবং বিটাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও অবিসংবাদিত নেতা। তিনি রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে ৭ মার্চ যেমন স্বাধীনতার নির্দেশ দিয়েছেন, তেমনি ১০ জানুয়ারি দিয়েছিলেন দেশ গড়ার নির্দেশনা। আর সেই কারণেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে মর্যাদার আসনে দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।

তিনি আরো বলেন, বিটাকে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, জীবনাচার, রাজনৈতিক দর্শন, নেতৃত্বগুণ, দেশপ্রেমসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটাকের মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে শিল্পোন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীর এই মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করে বিটাক পরিবার গর্বিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পরে মন্ত্রী বিটাকের প্রশাসনিক ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন শেষে কর্নারটি ঘুরে দেখেন এবং কিছু সময় অবস্থান করেন।