প্রত্নস্থলসমূহকে সংরক্ষণপূর্বক পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে– সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের গন্তব্যসমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহে পর্যটকদের সমাগম সবচেয়ে বেশি। সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে দেশের প্রত্নস্থলসমূহকে যথাযথ সংরক্ষণপূর্বক পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য। উয়ারী-বটেশ্বরসহ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীস্থ নাটেশ্বর দেওলের প্রত্নতাত্ত্বিক খননে সেটির প্রমাণ মিলেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় রঘুরামপুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন মুন্সিগঞ্জ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিক্রমপুরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালের ২৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে এ সংগঠন। লৌহজংয়ের কনকসারে পাঠাগার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এর কার্যক্রম। তিনি বলেন, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো শ্রীনগরের রঘুরামপুর ও নাটেশ্বর গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। এসব খননে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার আবিষ্কৃত হয়েছে, পাওয়া গেছে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রত্নতাত্ত্বিক সেসব নিদর্শন এবং সংগঠনের উদ্যোগে সংগ্রহ করা নিদর্শন দিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে বিক্রমপুর জাদুঘর।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ উল আলম লেনিন এবং বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্পের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বরে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।