প্রধান মেনু

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ-কার্যক্রম—রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

নিউইয়র্ক, ২০ ফেব্রুয়ারি : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, কোভিড-১৯ এর  সংকটে সবচেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিকগণ। এটি সমাজব্যবস্থায় বিদ্যমান অসমতা ও বৈষ্যমেরই প্রকাশ। পশ্চাদপদ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ তৈরি করা খুবই প্রয়োজন।

গতকাল নিউইয়র্কে ‘বিদ্যমান অসমতা: এসডিজি’র কার্য-দশকে সকলের জন্য বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ ও বৈষম্য দূরীকরণ’ শীর্ষক অর্থননৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) উচ্চপর্যায়ের বিশেষসভায় বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন ।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর ফলে বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ, বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্যের প্রভাবসহ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ‘কেউ পিছে পড়ে থাকবে না’ এই লক্ষ্য অর্জনে কোভিড-১৯ এর মোকাবিলার বিষয়টিকে অবশ্যই সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে।

সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ-পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বাংলাদেশের জিডিপি’র প্রায় ৩ দশমিক ৭ ভাগের সমান ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার বাইরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার সক্ষমতা-বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেখানে নারী, অতিদারিদ্র্য, ভাসমান জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য দূর্দশাপীড়িত জনগোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

অংশীজনদের আন্তরিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা-গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দারিদ্র্য, সহিংসতা, বৈষম্য, বর্জন এবং শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাবসহ অসমতার মূল কারণগুলো সমাধান করার আহ্বান জানান।

ইভেন্টটে ইকোসকের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।