মুক্তিযুদ্ধে অপপ্রচার হলেও মুক্তিযোদ্ধারা বিভ্রান্ত হননি– নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বিরল (দিনাজপুর), ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে দেশকে হানাদারমুক্ত করেছেন। তখনও অনেক অপপ্রচার হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের এসব অপপ্রচার বিভ্রান্ত করতে পারেনি। তিনি বলেন, আজকেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে, মিথ্যাচার দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরলে নবনির্মিত বিরল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনাকে জয় করতে সমর্থ হয়েছে। দেশে সবার মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময় যে বাংলাদেশ, সে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেবার ঘোষণা দেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন। তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু করব। আজকে পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। বাংলাদেশে কোন গভীর সমুদ্র বন্দর ছিলনা, আজকে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। পায়রা বন্দর আজকে দৃশ্যমান। মোংলা বন্দরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসছে। এভাবে সবক্ষেত্রে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে।
বিরল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ শোয়াইবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নবনির্মিত শহিদ মিনারের উদ্বোধন করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন। তিনি মতিজাপুরে নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সেতাবগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।