কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিমওয়ার্কে কাজ করার আহ্বান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা, ৪ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি) : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গতানুগতিকতার বৃত্ত হতে বেরিয়ে এসে চ্যালেঞ্জ গ্রহণপূর্বক টিমওয়ার্কে কাজ করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লক্ষ্য ঠিক করে দায়িত্ব বণ্টনপূর্বক আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সেমিনার কক্ষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ কর্মসূচির সর্বশেষ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে বর্তমানে ২টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য- ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ এবং ১টি প্রাকৃতিক সাইট-সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কে এম খালিদ বলেন, কোনো সাইটকে ইউনেস্কো’র বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে সেটিকে অবশ্যই টেনটেটিভ লিস্টে (সম্ভাব্য তালিকায়) অন্তত এক বছর থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের টেনটেটিভ লিস্টে ১৯৯৯ সালে ৫টি সাইট অন্তর্ভুক্ত করার পর দীর্ঘদিন তালিকা হালনাগাদকরণের উদ্যোগ কেউ নেয়নি। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এই তালিকা প্রথম প্রস্তুত করা হয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এটি হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন এবং ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান মিজ বিয়াট্রিস কালদুন।
সেমিনারে ‘সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ প্রক্রিয়া’ বিষয়ে অনলাইনে উপস্থাপনা করেন ওঈঙগঙঝ বাংলাদেশের সভাপতি ড. শরীফ শামস ইমন। হালনাগাদকৃত তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন।