প্রধান মেনু

বাঁধের পাশাপাশি নদীর তীরে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই—পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বাঁধের পাশাপাশি নদীতীরে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। আম্ফানে দেখা গিয়েছে যেখানে গাছ আছে সেখানে ভাঙন কম হয়। শুধু বাঁধ বাঁধলেই হবে না, বাঁধ সুরক্ষায় গাছ লাগাতে হবে। গাছ না থাকলে নদীর তীর, ঘরবাড়ি রক্ষা করা যায় না।

প্রতিমন্ত্রী আজ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া কোলা এলাকায় সুপার সাইক্লোন আম্ফানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনে ঘূর্ণিঝড়, জলোছ্বাস বেড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাঁধ চার মিটার থেকে ছয়-সাত মিটারে উন্নীত করা হবে। তবে নদীভাঙন রক্ষায় নদীতীরের গাছের বিকল্প নেই। বৃক্ষরোপণে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্গবাটী, কামালকাটি, বিড়ালাক্ষী এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ের হাজরাখালি, ঘোলা ত্রিমোহিনী ও হিজলিয়া-কোলা, প্রতানগরের হরিষখালী এলাকার বাঁধ মেরামত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিকালে পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (খুলনা জোন)-এর কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তানজিল্লুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।