প্রধান মেনু

গাংনীতে ডাইরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ কখনও ঠান্ডা আর কখনও গরম। এমন বৈরি আবহাওয়ার কারণে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডাইরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২০/২৫ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। গত ৫ দিনে ১৪৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ভর্তি হয়েছেন ৭২ জন।তবে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানকার চিকিৎসকদের। অপরদিকে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।

গাংনী হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, এক মাসে গাংনী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী, শিশু ও পুরুষ মিলে ৫৬৩ জন রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি আছে ১৬ জন। এখানে শিশুদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড নেই। মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে শিশুদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।ডাইরিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকলে রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।বিশেষ করে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড খুবই জরুরী।

তাছাড়া শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসাররাই শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের এরশাদ আলীর নয় মাস বয়সী শিশু আরিয়ান এ হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে সোমবার থেকে।আকস্মিকভাবে ডায়রিয়া হলে তা কোনভাবেই নিরাময় হচ্ছিলো না বিধায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান আরিয়ানের মা রিতা খাতুন।

একই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে হিন্দা গ্রামের লিপন হোসেনের ১৩ মাস বয়সী কন্যা মেহজাবিন। মেহজাবিনের মা মালা পারভীন জানান, গেল চারদিন ধরে হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে তার কন্যা শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠছে। ডাইরিয়া হলে ১০/১৫ দিনের আগে শিশুরা সুস্থ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।শিশু রোগীর কয়েকজন স্বজন জানান, আর্থিক অনটনের কারণে অন্য কোন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানো সবার পক্ষে সম্ভব না।

তাই বাধ্য হয়ে গাংনী হাসপাতালেই শিশুদের চিকিৎসা করাচ্ছেন তারা। আর বিত্তবানরা সেবা নিচ্ছেন বিভিন্ন ক্লিনিকে।ডাইরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম রিয়াজুল আলম বলেন,ঠান্ডা ও শীতে রোটা ভাইরাসের কারণে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এ সময়ে শিশু ও বয়স্কদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।