বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) : আজ ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সঞ্জীব নন্দন সাহাই (Sanjiv Nandan Sahai)। সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়।
সভায় ভেড়ামারা ও বহররমপুর ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার পাশাপাশি এর ২য় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা হয়।
সভায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিসহ ভারতের বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত গাইডলাইন ও রেগুলেশনের বর্তমান অবস্থা, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সকল ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদান, রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনজনিত আর্থিক সংশ্লেষের উদ্ভব হলে তা থেকে অব্যাহতি প্রদানের বিষয় পর্যালোচনা হয়।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতি এবং ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া সভায় রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। এ সময় বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি সত্ত্বেও মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৯ তম সভা ২১ জানুয়ারি একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৮তম সভা গত বছর মার্চ মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পরবর্তী সভা আগামী জুলাই মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।