প্রধান মেনু

কলকাতায় সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

কলকাতা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) : কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে এ ঐতিহাসিক দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংবাদ পত্রিকার যুদ্ধকালীন প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক বিকচ চৌধুরী এবং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা।

বিকচ চৌধুরী তাঁর আলোচনায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলেছে তাঁর আদর্শের ওপর ভিত্তি করে। বিকচ চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জাতিকে মুক্তির যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সে মোতাবেকই মুক্তিযুদ্ধ চলেছিলো এবং বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেয়েছে।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কলকতাবাসীর আগ্রহ ছিল প্রবল। তাই ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় কলকাতার বিমানবন্দরে বিপুল জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বার্তা পাঠান তিনি তাঁর দেশের মাটিতে পা রাখবেন প্রথম এবং অতিসত্বর তিনি কলকাতা আসবেন। বঙ্গবন্ধু সে কথা রেখেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকতার ঐতিহাসিক প্যারেড গ্রাউন্ডে (গড়ের মাঠে) বিশাল জনসমুদ্রে আবেগঘন বক্তব্য প্রদান করেছিলেন।

এরপর কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান শুরু হলে কবিতা আবৃত্তি করেন কলকাতার বিশিষ্ট আবৃত্তিকার স্বপ্না দে এবং রজত বন্দোপাধ্যায়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী শতাব্দী রায় সংগীত পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।