প্রধান মেনু

১০ জানুয়ারি  বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর  বাঙালি  জাতি  মুক্তির প্রকৃত স্বাদ  পেয়েছিল– মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন,   ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জিত হলেও,  বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ  থাকায়  স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ বাঙালি জাতি পায়নি। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ‘৭২ এর ৮ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার পর  বাঙালি জাতি   মুক্তির প্রকৃত স্বাদ পেয়েছিল।

আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস  সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের (বিজেআরএফের) সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন,  বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতার পথে প্রতিটি ঘটনা ইতিহাসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস রচনায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।  মুক্তিযুদ্ধের  সকল তথ্য ও ঘটনা  সঠিকভাবে  জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।

আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে  প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল ‘৭১ এর  ১৯ মার্চ গাজীপুরে।  স্বাধীনতার  আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায়   এ প্রতিরোধ মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ইতিহাসের স্বার্থে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র   প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি  প্রয়োজন ।

প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস  সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির  আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী  মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলী অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিজেআরএফ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।

সংগঠনের সমন্বয়কারী আতাউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এম এ বারী।