উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ডে মিনি ফায়ার স্টেশন হবে — স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ডে একটি করে মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করা হবে। আজ ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে অনেক সরু রাস্তার কারণে এসব এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। আবার ফায়ার স্টেশনগুলো অনেক দূরে থাকায় আসতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে দ্রুত অগ্নিনির্বাপণ ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয় না। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মিনি ফায়ার স্টেশন স্থাপন করার কর্ম-পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে সরকার। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ টি ওয়ার্ডে ফায়ার সার্ভিস কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই কার্যক্রমে যে লোকবল কাজ করবে তাদেরকে ডেনমার্ক ফ্রি প্রশিক্ষণ দেবে। আর মিনি স্টেশন নির্মাণের জন্য ডেনমার্ক ৮৫ শতাংশ অর্থায়ন করবে। মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ডেনমার্কের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা (এমইউ) স্বাক্ষর হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি আলোচনায় উঠলে গ্রিন এনার্জি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডেনমার্ক সরকারের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রকল্প ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, খুলনাসহ সব বিভাগীয় শহর এমনকি প্রত্যেক জেলায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের আছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হবে। অনেক কোম্পানি চুক্তি করতে আগ্রহী। যে কোম্পানিই আসুক প্রতিযোগিতা করে আসতে হবে। জাতীয় স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখেই চুক্তি করা হবে।
সাক্ষাৎকালে সায়েদাবাদে ফেজ-৩ ওয়াটার সাপ্লাই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান এবং পদ্মা যশোলদিয়া প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে উভয়ে আলোচনা করেন। এই প্রকল্পে ডেনমার্ক অর্থায়ন করেছে। ঢাকা ওয়াসার অধীনে এসব প্রকল্পে ডেনমার্ক আরো বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।