দুপচাঁচিয়ায় আলু চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলু চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। রোপা আমন ধান কেটে ঘরে তোলার পর ওই জমিতে চাষ, জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ, ধান গাছের গোড়ালি পরিষ্কার করে তা আলু রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চাষীরা। ইতি মধ্যে আগাম জাতের ধান কেটে নেয়া জমিতে অনেক চাষী আলু রোপন করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার দুপচাঁচিয়ায় ৪ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর ৩ হাজার ৯ শত ১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। সাধারণত উফসি ও স্থানীয় জাতের আলু চাষ করা হয়। উফসি জাতের আলুর মধ্যে রয়েছে কার্ডিন্যাল, এস্ট্রিকস, রোমানা ও স্থানীয় জাতের আলুর মধ্যে রয়েছে বট পাকড়ি, ফাটা পাকড়িসহ আরো অনেক নামের আলু। জমির মাটি উর্বরতা যদি ভালো হয়, প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে উফসি জাতের আলু বিঘা প্রতি ১ শত মণ ও স্থানীয় জাতের আলু বিঘা প্রতি ৬০ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়ে থাকে। উপজেলার নলঘরিয়া গ্রামের আলু চাষী আব্দুর রহমান এবার আড়াই একর জমিতে ও একই গ্রামের তৈয়ব আলী ৮০ শতক জমিতে আলু লাগিয়েছেন।
তাঁরা জানান, আলু চাষে প্রচুর খরচ হয়। সেই অনুপাতে আলু তোলার সময় ভালো দাম পেলে তাঁরা লাভবান হতো। আবহাওয়া ভালো থাকলে ও রোগবালাই কম হলে ভালো ফলনের আশা করছেন তাঁরা। উপজেলার ফেঁপিড়া গ্রামের কৃষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন, সঠিক সময়ে আলু লাগিয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আলু পরিচর্যা করলে ফলন ভালো হওয়ার আশা থাকে। উৎপাদিত এ আলু ঠিক মতো সংরক্ষণ করতে পারলে দামও ভালো পাওয়া যেতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম জানান, এ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার জমি আলু চাষের বেশ উপযোগী। এ কারণে আলুর উৎপাদনও ভালো হয়ে থাকে। এবার আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আশা করছেন তাঁরা। আলু ক্ষেতের নিয়মিত পরিচর্যাসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আলুর ফলন আশানুরূপ হবে।