প্রধান মেনু

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভগ্নিপতি আমানত উল্যাহর ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর) : নোয়াখালীর কৃতী সন্তান সাবেক ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর অভ রেজিস্ট্রেশন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতি মোঃ আমানত উল্যাহ’র ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে তার ইন্তেকালের সংবাদে তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বি. জামান জুনিয়র হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন কোম্পানীগঞ্জের মেহেরুন্নেছা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী আমানত উল্যাহ। পরে ১৯৬৯ সালে ইস্ট-পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনি ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় দায়িত্ব পালন শেষে ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর অভ্‌ রেজিস্ট্রেশন হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনকারী মরহুম আমানত উল্যাহ ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। চাকরির সুবাদে তিনি ফটিকছড়ি কলেজ, ফটিকছড়ি গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল, ফটিকছড়ি নর্থ দরুম প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জে চৌধুরীহাট কলেজও তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জের মেহেরুন্নেছা স্কুলকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি মরহুম আমানত উল্যাহ সমাজসেবায়ও অবদান রেখেছেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ছাড়াও চার ছেলে এবং তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার সন্তানরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার ছেলেদের মধ্যে ড. মামুনুর রশিদ দারুস সালাম ইউনিভার্সিটি, ব্রুনাই-এ অধ্যাপনায় নিয়োজিত। ব্যক্তিজীবনে মরহুম আমানত উল্যাহ ছিলেন একজন বন্ধুবৎসল, ন্যায়পরায়ণ ও পরোপকারী ব্যক্তিত্ব।

শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের নিজ বাড়িতে সকাল ৯টায় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।