প্রধান মেনু

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :“প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের উদ্যোগের কারণেই দিবসটির ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর মর্যাদা লাভ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’-এর এবারের প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস-সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’ সময়োচিত হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে এবার আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন ডায়াবেটিস-সেবায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেছে।

আমি মনে করি, ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনা ও উপযুক্ত ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। কারণ, ডায়াবেটিস সু্নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপরই একজন ডায়াবেটিক রোগীর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন নির্ভরশীল। আর এ কারণে নার্সরা যদি ডায়াবেটিক রোগীকে রক্ত পরীক্ষা, ইনসুলিন দেয়া ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলো শিখিয়ে দিতে পারেন তবে ডায়াবেটিস-সেবায় বিশাল বদল আসতে পারে। এর জন্য নার্সদেরও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্যসেবায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়েই জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নেও আমাদের সরকার কাজ করছে। সারাদেশে সকল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করতে দেশব্যাপী সকল উপজেলায় এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে নানা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।

আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচীর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”