বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ নভেম্বর ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “দেশের যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পহেলা নভেম্বর ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি যুবসমাজকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। এবছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, যুব কর্মসংস্থান’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
যুবসমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় ও সৃজনশীল। বাংলাদেশের ইতিহাসে যুবদের বীরত্বপূর্ণ অবদান ও মহান আত্মত্যাগ চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আহ্বানে মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এদেশের যুবসমাজ ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লালসূর্য। মূলত বাংলাদেশের ইতিহাস যুবদের গৌরবময় অবদানে ভাস্বর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ জাতির বিভিন্ন সঙ্কট উত্তরণে যুবসমাজের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নতদেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে (Demographic Dividend) কাজে লাগাতে হবে।
এজন্য আমাদের যুবসমাজকে পরিপূর্ণ দক্ষ ও মানবিক করে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাদের পশ্চাৎপদতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতাসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যুবসমাজ দেশগঠনের কাজে নিজেদের আরো বেশি নিবেদিত করবে – এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি। জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”