প্রধান মেনু

বঙ্গোপসাগরের বর্ধিত মহিসোপানে নিজস্ব সীমা সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্য জাতিসংঘে প্রদান করলো বাংলাদেশ

নিউইয়র্ক, ২৩ অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমা সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি জাতিসংঘে প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আজ জাতিসংঘের সমুদ্র আইন ও সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দিমিত্রি গংচার (Dmitry Gonchar) এর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্যাদি হস্তান্তর করেন।

দাখিলকৃত সংশোধনীটি জাতিসংঘের মহীসোপন সীমা বিষয়ক কমিশন-এর পরবর্তী অধিবেশনে এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি। মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তার সীমানার সমূদ্রসম্পদ ও সমুদ্র তলদেশের খনিজসম্পদ উন্মোচন ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে। ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা বিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসারের মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত মূল তথ্যাদি দাখিল করেছিল বাংলাদেশ। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা নির্ধারণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক মামলায় যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জয়ী হয়। এরফলে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবেশি রাষ্ট্র মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়, যা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত যুগান্তকারী সাফল্য।

আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় অর্জিত এই সাফল্যের বাস্তবায়নার্থেই বঙ্গোপসাগরে মহীসোপন সীমা সংক্রান্ত তথ্যাদি সংশোধন করা হয়। নিমানুযায়ী জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা বিষয়ক কমিশন বাংলাদেশ দাখিলকৃত তথ্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তীতে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশমালা পেশ করবে।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে দেশি- বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি দল মহীসোপান সীমা সংশোধনী বিষয়ক এই দলিলাদি
প্রস্তুত করে।