সিরাজুল ইসলামঃ  সাভারে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)  এ ঘটনায় হত্যাকান্ডে জড়িত ৯ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই ঢাকা জেলার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরন্ত্র সালেহ ইমরান।

পুলিশ জানায়, গত ৬ অক্টোবর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়ারপুরের যমুনা ন্যাচারাল পার্কের সামনে থেকে মিরপুরের হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম লস্করের (৪১) লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ  পরে নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলাটির তদন্তভার পায় ঢাকা জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)  পিবিআই তদন্তে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৯ ডাকাত সদস্যকে আটক করে। এ সময় পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদী ও একটি যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

আটককৃতরা হলো- বাসির মোল্ল্যা (৪২), শেখ হাফিজ (৩৫), আনোয়ার হোসেন (৩৫), আমির হোসেন (২৮), আল আমিন (২৮), জুয়েল মিয়া (৩২), নঈম (২২), তপন মিয়া (২৮) ও নাজমুল মিয়া (৩০)। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পিবিআই ঢাকা জেলার উপ পরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান বলেন, গত ৫ অক্টোবর মিরপুরের হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম লস্কর আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে তিনি নবীনগর থেকে মিরপুর যাওয়ার জন্য একটি যাত্রীবাহী বাসে ওঠেন। পরে একদল কুখ্যাত ডাকাত ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে বাসের ভিতরে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়।

এসময় ডাকাতরা নিহতের মোবাইল ফোন দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের জানায় এবং লাশ বলিয়ারপুরে ফেলে রাখা আছে, নিয়ে যেতে বলে। পরে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই হোটেল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আটক ডাকাতরা ডাকাতিসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।