প্রধান মেনু

বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):   আজ ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। এ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে। এছাড়া পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন।

এ উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়। ১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যন্ডের বার্ণে ২২ দেশের অংশগ্রহণে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) গঠন করার দিনটি স্মরণীয় রাখতে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ‘ডাক ইউনিয়ন দিবস’ ঘোষণা করা হয় । পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ রাখা হয়। উদ্ভাবন, একাগ্রতা এবং অন্তর্ভুক্তি এই তিনটি স্তম্বের ওপর এবছর ইউপিইউ পোস্টার ডিজাইন করেছে।

দিববসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রী আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউপিইউ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সদস্য পদ অর্জন করে এবং অদ্যাবধি প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে একটি ‘গ্লোবাল হোম’ এ পরিণত করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ডাকসেবা জনবান্ধব করতে ডাকঘর প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে। সেদিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চলমান সংগ্রাম সফল করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদপ্তর ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে।

গ্রামীণ আট হাজার পাঁচশ ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান জনবলকে ডিজিটাল উপযোগী করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার ফলে তৃণমূল জনগোষ্ঠী সরকারের ২০০ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ফলে এক সময়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়া ডাকঘর আজ জনগণের কাছে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম ৯ অক্টোবর ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি হবে।

পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট বিক্রি হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্হা আছে।