সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করতে হবে — সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

মৌলভীবাজার, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, করোনার কারণে সারাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে স্থবিরতা বিরাজ করছিল, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সংস্কৃতি চর্চা সে স্থবিরতাকে কিছুটা হলেও দূর করেছে। যেহেতু, করোনা মহামারি দীর্ঘমেয়াদি এবং করোনায় নিম্ন মৃত্যুহারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দেশ, সে কারণে সময় এসেছে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করার।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস-২০২০ উপলক্ষে দেশব্যাপী অনলাইনভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণী এবং স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল সংস্কৃতিচর্চার তীর্থভূমি। এ অঞ্চলে জন্মেছেন দেশবরেণ্য বহু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাছাড়া এ অঞ্চলে রয়েছে বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির ধারক বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। আমরা জাতীয়ভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি নিয়ে উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। সেখানে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হবে।
কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। হল ভাড়ার জন্য সংস্কৃতিচর্চা যেন থেমে না থাকে এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে এক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় হল বরাদ্দের ক্ষেত্রে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন যেন সমান সুযোগ পায় সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কালচারাল অফিসার জ্যোতি সিনহা। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কাজ এবং কমলগঞ্জ উপজেলাধীন মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউজ ও ডরমিটরি বিল্ডিং নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।