প্রধান মেনু

কিশোর-যুবাদের অবক্ষয় মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই — তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই- করোনায় সাত মাস ধরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলো বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মুজিব শতবর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) আয়োজিত এ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম মেহেদী হাছানের সভাপতিত্বে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং অন্যান্যের মধ্যে সিজেকেএস সহসভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, এহছানুল হায়দার বাবুল, হাছান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের কিশোর-যুবারা এখন আর আমাদের মতো মাঠে গিয়ে খেলে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ওয়েবভিত্তিক বিভিন্ন এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাপসগুলোর আসক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে বের করে আনতে হবে। কিশোর- যুবাদের অপরাধ ও অবক্ষয় থেকে মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আজকে ধর্ষণসহ নানা অপরাধ থেকে কিশোর-যুবাদের রক্ষার একটি বড় উপায় হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলার ব্যাপকতা বাড়ানো।

জাতির পিতার ফুটবল অনুরাগের কথা উল্লেখ করে এ সময় ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, এখানে অনেকে জানেন না, বঙ্গবন্ধু নিজেও কিন্তু ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলছাত্র তখন স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান। তখন শেখ লুৎফর রহমানের টিমের সাথে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন টিমের খেলা হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায়। সেই খেলায় বাবার টিমকে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার কারণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। করোনাকালের এই স্থবিরতা বেশিদিন রাখা যায়না, এটা কাটানোর জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমি মনে করি খুব সহসা চট্টগ্রামে লীগ খেলাও আয়োজন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোথাও করোনার কারণে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট এখনো শুরু হয়নি।

আমাদের সবাইকে যেমন করোনা মোকাবেলা করতে হবে, জীবন এবং জীবিকাও অব্যাহত রাখতে হবে। একইভাবে জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত খেলাধুলাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই করোনাকালে বাংলাদেশে প্রথম সিজেকেএস ফুটবল টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু করায় সিজেকেএসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।