গাংনীর চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ উদ্যোগ

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী প্রতিনিধিঃ করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মেথা বিকাশ ও পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের পৃথক পৃথক টীম শিক্ষার্থীদেরকে এনে পড়াশোনার খোঁজ নিচ্ছেন ও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে মতামত দিচ্ছেন।
শিক্ষকদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা কে কী করছে এবং বিদ্যালয়ের এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে কী করণীয় সে ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিদ্যালয় বন্ধের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়তে পারে আশঙ্কায় ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নেন তারা।
শিক্ষাথীদের খোঁজ খবর নেন এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হবার পরামর্শ দেন। সেই সাথে অভিভাবকদেরও সচেতন হবার জন্য অনুরোধ করেন। প্রধান শিক্ষক আক্কাছ আলী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার প্রতি মনোযোগী করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পৃথক পৃথক শ্রেণিতে শিক্ষক মন্ডলীর দ্বারা বোঝানো হচ্ছে। অভিভাবকদেরকেও সচেতন করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয় বন্ধ হবার পর থেকে লেখাপড়ার প্রতি অনেকেরই অনীহা দেখা দেয়। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে বিভিন্ন খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। শিক্ষকরা তাদেরকে এ মুহুর্তে করণীয় কী তা বলার পর অনেকেই ভুল বুঝতে পারছে এবং লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হচ্ছে।
অভিভাবকরা জানান, চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম অনেক আগের। এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকান্ডে সকলেই খুশি। শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এ ধরণের পদক্ষেপ প্রতিটি বিদ্যালয়ের নেয়া উচিৎ।