প্রধান মেনু

করোনার মধ্যে শিশু চিকিৎসা সেবায় ডাঃ কওসার আলী

এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি॥ কোভিড-১৯ মহামারি করোনা এখন অনেকের কাছে কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও শুরুতেই সবার মধ্যে এক ধরণের আতংক ও ভিতি কাজ করেছে। বিশেষ করে গত ৮মার্চ বাংলদেশে প্রথম করোনা সনাক্তের পর এ মাসের শেষে যখন সরকার লকডাউন ঘোষনা করে তখন প্রতিটি মানুষ যেন করোনা ভয়ে ছিল। সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় যে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করেছে।

অনেকেই মাসের পর মাস গৃহবন্দির মতো নিজ বাড়িতে অবস্থান করেছে। ওই সময় কর্মক্ষেত্রেও দারুণ প্রভাব ফেলে করোনা। মারাত্বকভাবে ব্যহাত হয় সবধরণের সেবা মূলক কাজ। চিকিৎসকরাও ছিল একধরনের উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে। যার প্রভাব পড়ে চিকিৎসা সেবায়। সেবা পেতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ রোগীদের। সেবা প্রদানে চিকিৎসকদের মধ্যে এক ধরণের অনিহা কাজ করেছে।

এক্ষেত্রে করোনাকালে নবজাতক, শিশু- কিশোরদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন পাইকগাছার কৃতি সন্তান ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মুহাম্মদ কওসার আলী গাজী। বর্তমানে তিনি খুলনার সিএসএস হাসপাতালে সিনিয়র কনসালট্যান্ট(শিশু) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি খুলনা আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা, খুলনা ও সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ এ চিকিৎসক করোনার মধ্যেও জন্মস্থান পাইকগাছার নবজাতক, শিশু-কিশোরদের চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। প্রতি সপ্তাহে তিনি বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পাইকগাছা পৌরসদর, কপিলমুনি ও রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৯ সালে দখিনা পদক লাভ করেন ডাঃ কওসার আলী।

প্রতিদিন অসংখ্য অভিবাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে আসেন তার চেম্বারে। পাতড়াবুনিয়া গ্রামের বিউটি বেগম জানান এলাকায় কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাই। করোনার ঝুঁকি নিয়ে ডাঃ কওসার আলী যেভাবে এলাকার শিশুদের জন্য সেবা প্রদান করছেন অভিবাক হিসেবে আমরা সত্যিই তার কাছে কৃতজ্ঞ।

প্রতিদিন সেবা নিতে আসা শিশু ও তাদের অভিবাবকদের কিভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করছেন এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে নিজেই কতটা ঝুঁকি মুক্ত এমন প্রসঙ্গে ডাঃ মুহাম্মদ কওসার আলী গাজী জানান যে কোন পরিস্থিতে সেবা পাওয়া দেশের প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের মৌলিক অধিকার। সমাজের কোন মানুষ সেবাথেকে বঞ্চিত হোক এটা কোন চিকিৎসকের কাম্য হওয়া উচিত নয়। প্রত্যেক চিকিৎসককে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করা উচিত। সে লক্ষ্যেই সবসময় কাজ করে থাকি।

করোনা কালেও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছি। প্রতিটি শিশুর সাথে এক বা একাধিক অভিবাবক সাথে আসেন এজন্য সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। নিজে যেমন মাস্ক ব্যবহার করি তেমনি অভিবাবকদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা রয়েছে। তাপ পরিমাপক যন্ত্র রয়েছে, রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এক কথায় সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যহত রাখা হয়েছে।