নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে গাংনীর কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজ বন্ধ

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী (মেহেরপুর): নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসি।শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তারা।জানা গেছে, দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ পায় কুষ্টিয়ার আনোয়ার আলী নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।নিম্নমানের বালু দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর স্থানীয়রা গিয়ে সত্যতা পান।পরে কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসি।
কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবা খাতুন দিপালি জানান, কাজ দেখভাল করার জন্য কয়েকজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।নিম্ন মানের বালি ও খোয়া ব্যবহার করার কারনে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এলাকাবাসি নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক কে জানানো হয়েছে।
কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: মজিরুল ইসলাম বলেন, নিম্ন মানের বালি ও খোয়া ব্যবহার করে কঠিন ভুল করেছে।বিষয়টি নিয়ে ম্যানিজিং কমিটি শিক্ষক ও স্থানীয়দের সাথে বসে আলোচনা করার পর পরবর্তী করনীয় ঠিক করা হবে।কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ খবির উদ্দীন জানান, ঢালাই কাজ করার সময় কয়েক শিক্ষক সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।কিছু সময়ের জন্য শিক্ষকরা সরে গেলে নিম্ন মানের বালি ও খোয়া ব্যবহার শুরু করে।এ ঘটনায় বিক্ষুুব্ধ হয়ে এলাকবাসি কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ সময় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম উপস্থিত ছিলেন না।একারনে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।শিক্ষা উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম জানান, তিনি অসুস্থ তাই ঘটনাস্থলে না থাকার কারণে এমনটি হতে পারে।বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনছুর আলম খান বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেখভাল করার কথা তারা যদি অবহেলা করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।কোন ভাবেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবেনা।সরকারী বিধি মোতাবেক কাজ করতে হবে।কোন অজুহাত চলবেনা।