প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই ক্রীড়াঙ্গনে নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে — যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের শুভ সূচনা করেছিলেন। তিনি আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন।

তিনি ইনস্টিটিউট অভ্ স্পোর্টস যা আজকের বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে।প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তাক্ত যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হলেও তার জন্য বাংলাদেশকে বড় ধরণের খেসারত দিতে হয়। বলতে গেলে শূন্যহাতে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। সেই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নজর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া ছিল খুবই কঠিন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু।খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালেই যাত্রা শুরু করে জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। দুই ধাপে গড়ে তোলা হয় ৩৪ টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থা। অনুমোদন দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

কয়েকটি দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ক্রীড়াবিদদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। ক্রীড়াবিদদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৫ সালেই গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিনিয়ত কর্মব্যস্ত থাকলেও খেলার মাঠের আমন্ত্রণ তিনি এড়াতে পারতেন না। বঙ্গবন্ধু হতে পারেন তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস।

আমার বিশ্বাস, জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারে তার আজন্মলালিত স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন সোনার বাংলা। আমি যুব সমাজকে উদাত্ত কণ্ঠে বলতে চাই তোমরা শেখ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করো, তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো ও নিজেদেরকে এগিয়ে নাও তবেই তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো’।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মময় জীবন নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ জাতির পিতার বর্নাঢ্য জীবন নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।