ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের বিচার হলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। এজন্য কমিশন গঠনের কথা বলেন তিনি।

আজ শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এর সাথে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র জড়িত ছিল। এজন্য  শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়,  বঙ্গবন্ধু পরিবারের  সদস্য এবং পরবর্তীতে জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করা হয়। শিশু রাসেলকেও তারা ছাড়েনি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হতে বিচ্যুত হয়ে পরবর্তীতে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্রপরিচালনা সেটাই প্রমাণ করে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল ক্যারিশম্যাটিক নেতাই ছিলেন না, তিনি প্রশাসক এবং কূটনীতিক হিসেবেও অনন্য ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের  মিত্রবাহিনীর সদস্যরা এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু  মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ভারতীয়  মিত্রবাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠান। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করেন। পৃথিবীর অন্যতম সেরা সংবিধান প্রণয়ন  করেন, এমনকি একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করেন।

বঙ্গবন্ধু  জীবিত থাকলে  বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত হতো। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মন্ত্রী সরকারি পরিবহণ পুল ভবনের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শহীদুল হক ভূঁঞা, এবং মোঃ ছালাহ উদ্দীন
চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।