প্রধান মেনু

ভোলায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিগুন, নেই কোন তদারকি।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোলায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভা‌বিক হা‌রে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দিগুন। ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিত্য পন্য  না থাকায় হতাশায় সাধারন মানুষ।এক‌দি‌কে যেমন ক‌রোনা আতংক অন্যদিকে চল‌ছে রমজান মাস।এর মধ্যেই দি‌নে দি‌নে বে‌ড়েই চ‌লে‌ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। হতাশা পিছু ছাড়‌ছেনা সাধারন মানুষ‌দের।এ মনেতেই করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষ তার উপর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগ‌তির বাড়‌তি কষাঘাত। এ যে‌নো গো‌দের উপর বিষ‌ফোঁড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে দ্বিগুন।

ভোলার বাজারে ঘু‌রলে দেখা মে‌লে ভোগ্য প‌ন্যের এমন চিত্র। ৪০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, ৩০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, দেশী মশুরের ডাল কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা, ১২০ টাকার রশুন বর্তমানে ১৬০ টাকা, অাদার ঝাঁজ এখন ক‌রোনা ও রমজা‌নে, ১৪০ টাকার আদা ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে শুকনো মরিচ বিক্রি হত ৪০০ টাকায়। বর্তমানে তা ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা বাজারেও প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় অ‌নেক বেড়েছে। ১৮ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, ঢেড়শ, টমেটো, বরবটি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এদিকে রমজান মাস শুরু হওয়ায় ৫০ টাকার মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায় প‌রিস্কার হা‌তের মু‌ড়ি ৯০ টাকা থে‌কে বে‌ড়ে এখন ১২৫ টাকা। মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ইফতার তৈরীর সামগ্রীর দামও বে‌ড়ে‌ছে।

৬৫ টাকার খেশারী ডাল ১০০ টাকা, ৮০ টাকার বেশন ১২০ টাকা বি‌ক্রি করা হ‌চ্ছে। চালের বাজার তো অসহনীয় পর্যায়ে। ১৩০০ টাকার স্বর্না ২১০০ টাকা, ১৮০০ টাকার চালের বস্তা ২৬০০ টাকায় বি‌ক্রি করা হ‌চ্ছে। এদিকে শহর ছাড়িয়ে গ্রামের হাটবাজার গুলোতেও সব পণ্যের দাম বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার প্র‌ত্যেক উপ‌জেলা গু‌লো‌তেও নিত্য ভোগ্য প‌ন্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃ‌দ্ধির অ‌ভি‌যোগ পাওয়া গে‌ছে।

বাজা‌রে আসা ক্রেতা জ‌সিম, লিটন ও জামালউ‌দ্দি জানান, বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরো জানান, এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষের দিন কাটছে অনেক কষ্টে। তার উপর দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয় থাকায় যেন মরার উপর খারার ঘাঁ।

জানতে চাইলে বাজার রোডের মুদি ব্যবসায়ী ছোলাইমান বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যই বর্তমানে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারনে পণ্য পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে। তাই পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। মা‌ঝে ম‌ধ্যে ভোগ্যপন্য নিয়ন্ত্র‌নে ভ্রাম্যমান আদালত অ‌ভিযান প‌রিচালনা ক‌রে অর্থদন্ড দি‌লেও পরক্ষ‌নে আবার যেই সেই বাজার মূল্য। ভূক্ত ভো‌গি‌দের দাবী শুধু অর্থদন্ড দি‌লেই থাম‌বেনা বাজা‌রের উর্ধ্বগ‌তি। অ‌ধিক মুনাফা‌খোর বাজার নিয়ন্ত্রনকারী‌ সি‌ন্ডি‌কেট‌দের খুঁজে বের ক‌রে তা‌দের আইনের আওতায় আনা প্র‌য়োজন এবং বাজার ম‌নিট‌রিং একান্ত অপ‌রিহার্য ।