করোনা উপসর্গ নিয়ে কিশোরের মৃত্যু,চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীসহ আক্রান্ত ৭

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ২৬এপ্রিল ২০২০ঃ ঝিনাইদহে একজন চিকিৎসক, একজন গৃহবধুসহ মোট সাতজন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।শনিবারে দুই জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর রোববার নতুন করে আরো ৭ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের এক গৃহবধু ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের এক যুবক, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যানবিদ, মহেশপুরে একজন স্বাস্থ্যকর্মী, কালীগঞ্জে একজন ডেন্টাল সার্জনসহ দুইজন ও কোটচাঁদপুরে এক ২১ বছরের যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৯জন।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ রোববার সকালে এই তথ্য জানান।এদিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে শৈলকুপার গোলকনগর গ্রামের আব্দুল গফুরের প্রতিবন্ধি ছেলে শিপনের (১৪) মৃত্যু হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছে। সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, কিশোরটি ছিল প্রতিবন্ধি।
তবে তার শ্বসকষ্ট ও সর্দিজ্বর ছিল।ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোববার সকালে ১৪ টি নমুনার ফলাফল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭ টি পজেটিভ এসেছে। তিনি জানান, আক্রন্তদের শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শৈলকুপা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদ আল মামুন জানান, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিসংখ্যানবিদ আক্রান্ত হয়েছেন।
তার রিপোর্ট সকালে হাতে পেয়েছি। হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সেবা আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই পরিসংখ্যানবিদের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় বলে জানা গেছে। কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, তিনি জ্বর, ঠান্ডা কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
রোববার সকালে তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা শিরিন বলেন, রোববার কালীগঞ্জে নতুন দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে একজন চিকিৎসক ও অন্যজন কৃষক। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার জেলায় প্রথম ধরা পড়া দুই করোনা রোগীর মধ্যে একজন ছিল ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়ার এক নারী। তার অবস্থা ভাল। ওই নারীর শরীরের করোনার কোন উপসর্গই নেই। তারপরও তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।