প্রধান মেনু

জীবন ঝুঁকি, তবুও সেবায় ব্রত বিষ্ময়কর এক করোনাযোদ্ধা ঝিনাইদহের মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু উদ্বেগ সহধর্মিনীর

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ১৬এপ্রিল ২০২০ঃ নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে ঘোষিত ‘‘ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন’’ করেনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব অবরুদ্ধ। দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অনুরূপভাবে ঝরে পড়ছে মানুষের জীবনও।তবুও থেমে নেই আমি ঠিক দেশ ঠিক এর প্রবক্তা,ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ,মানবতার ফেরিওয়ালা মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু’র দৌড়ঝাঁপ।

জীবনঝুঁকি নিয়ে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার সকল ওর্য়াড,পাড়া-মহল্লা,ওলি-গলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মেয়র মিন্টু। দিন-রাত পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তসহ সবজি। এতে একদিকে যেমন কর্মহীন, নিম্নে ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। ঠিক অপরদিকে বাড়ছে মেয়রের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির মাত্রাও। ফলে সহধর্মিনী,পরিবার ও শুভানূধ্যায়ীরা তাকে নিয়ে শংকায় আছেন। মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর সহধর্মিণী পৌরমাতা আর্মিজা শিরিন আক্তার এমি আবেগময় স্ট্যাটাসে উদ্বেগ,আজ ত্রিশটা বছর তার পাশে থেকে সবসময় সবকাজে তাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছি।অনেক খারাপ দিন,অনেক কষ্টের দিন,অনেক সংগ্রামের দিন একসাথে পাড়ি দিয়ে এসেছি।আজ আর আমি পারছি না।খুব ক্লান্ত হয়েগেছি।যুদ্ধ করতে করতে আজ কোনকিছুতেই আর শক্তি পাচ্ছি না,সাহস পাচ্ছিনা,সবসময় ভয় হয় ওকেবুঝি এবার হারিয়েই ফেললাম।আল্লাহ মাবুদ তুমি সহায় হও,এই কাজপাগল লোকটার।ছেলেবেলা থেকে বাবা-মা হারা তাই বোধহয় মানুষকে ভালো বাসতে পিছুটান নেই তার কখনো। ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ২৬মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই ঝিনাইদহ পৌর এলাকাসহ হরিণাকুন্ডুতে পৌর মেয়র

আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু সরব রয়েছেন। প্রতিদিনই তিনি অসহায় ও দুঃস্থদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন। জেলাতে করোনাভাইরাসের করাল আঘাতে জনজিবন যখন বিপর্যস্ত,তখনই বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের ঘরে ঘরে ভ্যানে করে সবজি ডিম পৌঁছে দিলেন পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে ঘরে ঘরে এসময় ডিমসহ লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পুইশাক, ডাটা শাক, বেগুন, বরবটি , টমেটো, পটল, কাঁচামরিচ প্রদান করেন। মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি নিজেগিয়ে ঘরে ঘরে সবজি পৌঁছে দিচ্ছি। যাতে ঝিনাইদহ পৌরসভার একটা মানুষ
না খেয়ে কষ্ট করে।

মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সাথে নিয়ে দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিয়েছি। যত দিন এই মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক না হবে ততদিন আমরা ঝিনাইদহ পৌরসভার মানুষের পাশে থাকবো। সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, জনপ্রতিনিধির কাজ হচ্ছে মানুষের সেবা করা। এজন্য তার বসে থাকার সুযোগ নেই। ঝিনাইদহের নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। অসহায় মানুষের চিন্তা মাথায় রেখেই তিনি সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।যারা জন-প্রতিনিধি, তারা যেকোন দূর্যোগ বা মহামারীতে ঘরে থাকতে পারে না ।

ঝিনাইদহের পৌর সভায় নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ।পুরো শহরটাকে স্থায়ী প্রচার মাইকের আওতায় আনা হয়েছে। শহরের পায়রা চত্বর থেকে একটি কন্ট্রোল প্যানেলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শহরবাসীকে সার্বক্ষণিক উজ্জিবিত রাখতে ও আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক প্রণোদনা মূলক বক্তব্য রাখছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন,’ আমাদের দেশে বর্তমান যে অবস্থা তাতে বাচতে হলে ঘরে থাকার বিকল্প নেই। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ,সেনা বাহিনী,বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন,সাংবাদিক বন্ধুরা ও ঝিনাইদহ পৌরসভা আপনাদের জন্য বাইরে আছি।

আপনারা ঘরে থাকুন।আমরা হটলাইনে সংবাদ পেলেই আপনাদের ঘরে খাবার পৌছে দেব। এই দুর্যোগ যদি এখনও ১০ দিন থাকে তবে ১০ দিনই আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাশে আছি। আপনার বাড়িতে বসেই যে যার ধর্মমতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থণা করুন এবং ঘরে থাকুন। ইতিমধ্যেই মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রায় পচিঁশ হাজার মানুষের ঘরে পায়ে হেটে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ পৌঁছে দিয়েছেন। ঝিনাইদহ পৌরসভার ২৫ হাজার কর্মহীন ও অসচ্ছল মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার প্রানান্তকর কর্মযজ্ঞ অব্যহত রেখেছেন মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু।