করোনা মহামারিতেও থেমে নেই ঝিনাইদহের হার্ভার্ড স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ০৪মে ২০২০ঃ ক্লাস নেই, পরীক্ষা নেই, নেই কোন শিক্ষা কার্যক্রম, সারা দেশে চলছে অঘোষিত লক ডাউন। শ্রমজীবী মানুষের কাজ নেই, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ। নিম্ন আয়ের মানুষদের ত্রাণের উপর ভর করে চলছে সংসার, কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সংসার চলছে বড়ই কষ্ঠে না পাচ্ছে হাত পাত্তে না পাচ্ছে কাজ করতে।
এ অবস্থায় ঝিনাইদহ শহরের নাম করা বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রদের বেতন পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, বাড়িতে বার বার নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।ছোট এই শহরের বেশির ভাগ মানুষই নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, অল্প কিছু সরকারী চাকুরী জীবী বাদে সবার সংসারেই চলছে টানাপাড়া এমন অবস্থায় সংসার চালিয়ে সন্তানদের স্কুলের বেতন দেওয়ার কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।
অনেকে বলেন কষ্ট করে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করলেও এপ্রিলের বেতন দেওয়া একেবারেই অসম্ভব।স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানাগেছে ৩য় শ্রেণীর ১৫০০টাকা, ৪র্থ শ্রেণীর ১৬০০টাকা, ৫ম শ্রেণীর ১৭০০টাকা এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ১৮০০টাকা করে মাসিক বেতন আদায় করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ক্লাসের নামে শ্রেণী ভেদে ২০০ থেকে ৫০০টাকা করে মাসিক আদায় করা হয়। তাছাড়া পরীক্ষার ফি, খাতা, বই, নোট, গাইড, ব্যাগ জুতা, উত্তর পত্র ফটোকপি সবকিছু এমনকি টিফিন ক্রয়ও ঐ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই করতে হয়।
স্কুলে সব ক্লাস মিলিয়ে মোট সাড়ে ৩শ’র অধিক ছাত্র ছাত্রী আছে। অভিভাবকদের গড়ে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়ে যায়।একমাস বন্ধ থাকলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে দশ লক্ষ টাকা। এ কারনে এই বৈশ্বিক মহামারিতেও ছাত্র বেতন আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন বলেন আমরা সম্পূর্ণ একটি বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য আমরা ছাত্রদের কাছে বিকাশ এবং রকেট নাম্বার দিয়ে নোটিশ করেছি বেতন পরিশোধের করার জন্য। তিনি আরও বলেন আমরা অনলাইনে ছাত্রদের ক্লাস পরিচালনা করছি, যতদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিন আমরা এই ক্লাস অব্যাহত রাখব।