শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,০৫জুন ২০২০ঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে আ’লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আলাপ শেখ(৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের ভোলায় শেখের ছেলে। এসময় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন।

সূত্রে জানা গেছে, আলাপ হোসেন বিয়ের দাওয়াত খেয়ে নিকটস্থ বাজারে যাচ্ছিলেন। তারা হরিশংকরপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে আ’লীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। হামলায় আলাপ শেখ ও নুর ইসলাম আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আলাপ শেখ মৃত্যুবরণ করেন। এবং অপর আহত নুর ইসলামকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় এক আওয়ামীলীগের কর্মি জানান, আওয়ামী লীগের দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নিহত আলাপ সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের সমর্থক। এ ঘটনার পর এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় লুটপাট ও ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এর মধ্যে ৪টি গ্রামে লুটপাট ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, আমি শুনেছি হরিশংকরপুর গ্রামে কথা আ’লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এবং ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারাগেছে। এদিকে এই মার্ডারের পর ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে লুটপাট শুরু হয়েছে। রাত ৯টার কোদালিয়া গ্রামের আমানুর ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং হরিশংকরপুর,পরান পুর, বাকড়ি গ্রামে লুটপাট চলছে। বাকড়ি গ্রামের আজাদ মাস্টারের বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

তিনি পানামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আজাদ মাস্টার জানান, আমার বাড়ি থেকে ১০টি গরু ও ১১টি ছাগল সহ কবুতর পর্যন্ত নিয়ে গেছে। আরও অনেক মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে গেছে। সংঘর্ষের ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।