ভাঙ্গায় গৃহবধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, মা ও ছেলে গ্রেফতার- ২

জাকির মুন্সি, ভাঙ্গা, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহিতন খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের সিংগাড়িয়া গ্রামের চকের বিলের পানির মধ্য থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা ও গুম মামলার অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রেহানা বেগম (৪৫) ও হাসান মোল্লা (২৩) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে।নিহত মহিতন খাতুন ভাঙ্গা পৌরসভার চৌধুরীকান্দা গ্রামের প্রয়াত আদেল উদ্দিনের মেয়ে ও নগরকান্দা উপজেলার কান্দি গ্রামের প্রয়াত নিজাম তালুকদারের স্ত্রী তিনি একজন বিবাহের ঘটক ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, ঈদের দিন বিকেলে মহিতন খাতুন তার বাপের বাড়ী হতে ঘটকালির পাওনা টাকা চাইতে সিংগাড়িয়া গ্রামের মনির মোল্লার বাড়িতে যান।তার পরে সেদিন থেকেই গত দুইদিনে মহিতন খাতুন নিখোজ হন। পরে মরদেহ উদ্ধারের ঘঁটনার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে দেখেন মরদেহটি মহিতন বেগমের। তারা আরও বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় মনির ও তার পরিবারের সদস্যরা মহিতন বেগমকে হত্যা ও গুম করে চকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমরা দোসীদের দৃষ্টান্তমুলক সাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন গভীর রাতে মনিরের বাড়ি হতে একটু অদুরে চকের পানির মধ্যে মনির ও তার ছেলেকে গলা সমান পানির মধ্যে দেখতে পান স্থানীয়রা। এত রাতে তারা কি করছেন জানতে চাইলে কোন সদুত্তর না দিলে এই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ ও গুনজন সৃষ্টি হয়। তারা আরও বলেন মনির মোল্লা ওই এলাকায় একজন চোট ও প্রতারক ব্যক্তি হিসেবে বেশ পরিচিত।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ওই চকের মধ্যে জেলেরা জাল পেতে মাছ ধরছিলেন, এসময় প্রচুর দূর্গন্ধময় একটি প্লাস্টিকের বস্তায় দুই পা ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঁটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১১ টায় মরদেহটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান সমকালকে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মহিতন বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মনির মোল্লার স্ত্রী ও তার ছেলে হাসান মোল্লা।
কয়েকজন আসামী পলাতক রয়েছে খুব শীগ্রই তাদের গ্রেফফতারের করে আইনের আওতায় আনা হবে। মরদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা ও গুম মামলা রুজু করা রহয়েছে।