প্রধান মেনু

আগামী পাঁচ বছর ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে — অর্থমন্ত্রী

পিআইডি নিউজ : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে এবার ফোরামে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার রূপরেখা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের পদক্ষেপসমূহ বা বিভিন্ন আর্থসামাজিক অগ্রাধিকার খাতে সরকারের মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে।

আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিডিএফের সমাপনী ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। অর্থমন্ত্রী দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরো বলেন, সরকার ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাক্কলন অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার ২০২১ সালে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালে ১২ দশমিক ১ শতাংশ হবে।

অতি দারিদ্র্যের হার ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমে আসবে।মোট বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপি’র তুলনায় ২০২০ সালের ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে। এর মধ্যে সরকারি খাতের বিনিয়োগ ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ শতাংশ এবং ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২৪ দশমিক ৫ থেকে ২৮ দশমিক ২ শতাংশ হবে। পাঁচ বছর সময়কালে দেশের ভেতরে এবং বাহিরে মোট ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

পরিকল্পনার প্রাক্কলন অনুযায়ী জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ হবে। আগামী পাঁচ বছরে মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। ব্যবসাবান্ধব, ম্যানুফ্যাকচারিং-বান্ধব ও রপ্তানি-বান্ধব ট্যাক্স-রেজিম সৃষ্টি করা হবে। সরকারি বিনিয়োগে দেশীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্য মোট রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে।