প্রধান মেনু

চীনে আটকে পড়া ৩৬১ জন শিক্ষার্থীকে আজই দেশে আনা হবে — স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের উহান রাজ্যে আটকে পড়া অন্তত ৩৬১ জন শিক্ষার্থী, পরিবার ও শিশুকে আজ রাতেই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সহ পররাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী
তাদেরকে আজ দেশে ফিরিয়ে আনার সকল বন্দোবস্ত করা হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আটকে পড়া প্রায় চারশত শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

চীন থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সরকারের সতর্কতার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,ভুলে গেলে চলবে না, এই ছেলেমেয়েরা আমাদেরই সন্তান। তাদেরকে আমরা মৃত্যুমুখে ফেলে রাখতে পারি না। তবে দেশে এনে তাদের কারণে যেন অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে আমরা শতভাগ সজাগ রয়েছি।ব্রিফিংয়ে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে পড়াদের মধ্য থেকে কেবল উহান রাজ্যে বসবাসরতদেরকেই আজ দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। দেশে এনে তাদেরকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে আইসোলেটেড পিরিয়ড হিসেবে ১৪ দিন রাখা হবে।

অন্য প্রদেশে বসবাসকারীরা তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকায় এই মুহুর্তে তাদেরকে আনার ব্যাপারে ভাবছে না সরকার।উল্লেখ্য, চীন থেকে আগত ৩৬১ জনের মধ্যে ৪৭ জন নারী, ১৮টি পরিবার, ১৯টি শিশু, ২টি ৫ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উহান থেকে ফেরত সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি ও ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুম-১ এ সংশ্লিষ্ট করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।