প্রধান মেনু

কোনো প্রার্থীর বাড়িতে যাওয়া কূটনীতিকদের কাজ নয় — তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি): তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন চলাকালীন বিদেশি কূটনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে গেছেন সেটি কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। কোনো প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সহানুভূতি জানানো বিদেশি কূটনীতিবিদদের যেমন কাজ নয়, তেমনি এটি কূটনীতিরও কাজ নয়। আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে।

আজ চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ইডেন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা ও বিদেশি কূটনীতিকরা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যত না আগ্রহী তার চেয়ে বেশি আগ্রহী স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশনেও ইতোমধ্যে দেখা করেছেন’ – এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন তা কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে না।

অথচ পাশের দেশ ভারতে যখন জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখন তো সেখানে কূটনীতিবিদরা এভাবে কথা বলেন না, কিংবা অন্য দেশেও বলেন না।ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশে আমরা সবসময় দেখতে পাই বিদেশি কূটনীতিবিদদের এসব নিয়ে আগ্রহটা বেড়ে যায়। এটির জন্য অবশ্য আমাদেরও কেউ কেউ দায়ী। আপনারা জানেন, কোনো কিছু হলেই বিএনপি বিদেশি কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে।

এটি কোনোভাবেই উচিত নয়।মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দিয়েছে এবং সেখানে আবার ২৮ জন বাংলাদেশি অর্থাৎ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। এটি কীভাবে দিয়েছে, কেন দিয়েছে, সে নিয়ে যদিও বা গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন, কিন্তু এখানে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি। স্থানীয়ভাবে যারা কূটনীতির কাজ করতে এসেছেন তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আবার সেখানে সেই দূতাবাসে কর্মরত ২৮ জন বাংলাদেশিকে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে।

এটি কীভাবে দিল, কেন দিল এটি আমার কাছে বোধগম্য নয়। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের আরো বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল।