প্রধান মেনু

বাউফলে করোনায় প্রভাব পড়েনি জনমনে

বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক প্রভাব পরেনি জনমনে।এখন অনেকেই অসতর্কতার সাথে চলাফেরা করছেন।বিভিন্ন চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন শহর থেকে গ্রামে আশা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করলেও গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মধ্যে রয়েছে অসেচতনা। মোঃ নোমান (২৫) নামের এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ শনাক্ত করতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

ইতিমধ্যে ১জন ডাক্তার ১জন এ্যাম্বুলেন্স চালক ও বিদেশ থেকে আসা ২৭ ব্যক্তিকে হোমকোয়ারেন্টাইনে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাড়ীগুলো চিনহিত করতে লাল পতাকা সহ স্থানীয়দের তাদের এড়িয়ে চলার জন্য শতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে করোনা আতঙ্ক। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও এখন রোগী শুণ্য। ভয়ে চিকিৎস্যা সেবা নিতে আসছেন না অনেকে। আবার কঠোর নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও মানছেনা কিছু মানুষ।

শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বড় বড় প্লাজা ও বন্ধ রাখা হলেও অনেকেই আবার কিছু দোকান খোলা রেখে বিকি কিনি করছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করলেও উপজেলার অন্যান্য হাট বাজারগুলো রয়েছি অরক্ষিত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, তিনটি স্তরে কর্মকর্তারা কাজ করছে, দুইয়ের অধিক ব্যক্তি যাতে একত্রিত না হয়। চায়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে চারটি আইসোলশন বেড তৈরী করা হয়েছে রোগীদের তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আর নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে চাল ডাল আলু তেল পেয়াজ বিতরণ করা হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ কে প্রশাসন যে ভাব সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপদে যেতে বাধ্য করেছে সে তুলনায় বাউফলের চিত্র ভিন্ন। অসচেতন মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পুরো উপজেলাই করোনার ছোবলে গ্রাস হতে পারে বলে মনে করেছেন এ উপজেলার সচেতন মহল