করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা মেহেরপুরে ইজিবাইক-ভ্যান বেপরোয়া

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ পর্যাপ্ত ত্রাণ পাবার পরও মেহেরপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ইজিবাক ও ভ্যান চালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অনেকটাই বাঁধাহীনভাবে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এতে করে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ পাওয়ার পরেও তারা বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলা প্রশাসক। জনপ্রতিনিধিসহ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানালেন তিনি।রোববার সকালে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন সড়কে ভ্যান ও ইজিবাইক বাঁধাহীনভাবে চলাচল করছে। মোড়ে মোড়ে ভিড় করে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকছেন চালকরা। এসব ইজিবাইক ও ভ্যান যাত্রী নিয়ে জেলার এ প্রান্ত থেকে অপ্রান্ত পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
এতে সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। প্রতিদিন ভ্রাম্যম্যাণ আদালতে অনেকের অর্থ দন্ড- করা হচ্ছে। কঠোর আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে প্রশাসনের লোকজনও বিপাকে পড়ছেন। অপরদিকে যারা ঘর থেকে অকারণে বের হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ থাকতে হবে মন্তব্য করেছেন অনেকে।কয়েকজন ইজিবাইক চালক জানান, অনেক ঘর থেকে বের হচ্ছেন। সড়কে যানবাহন নেই তাই আমাদের ভাড়া বেশি হচ্ছে।
এ কারণে অনেক ভ্যান ও ইজিবাইক চালক দিন রাত রাস্তায় থাকছেন। কাজ বন্ধ থাকায় ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তারপরেও কেন আপনার ঘর থেকে বের হচ্ছেন এমন প্রশ্নে শহরের ইজিবাইক চালকরা জানান, ১৫ কেজি চাউল আর কিছু পণ্য পেয়েছি। যা দিয়ে ছয় জনের পরিবার চলতে পারছি না তাই রাস্তায় আসতে বাধ্য হচ্ছি।একই কথা জানালেন রশিদ ওরফে পাখি ভাই ও পিন্টু। তবে একই ব্যক্তি বারবার ত্রাণ নেওয়ার পরেও বলছেন আমি কিছুই পাইনি।
তাদের মধ্যে সহনশীলতা নেই এবং মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গণি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও রাস্তায় গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও ইজিবাইক ও ভ্যান চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন। তারা ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে যে অভিযোগ করছে সেটি মিথ্যা। উপজেলার প্রায় দেড় হাজার ভ্যান, রিক্সা ও ইজিবাইক চালকদের মাঝে সরকারি ত্রাণ দেয়া হয়েছে। তারা ঘরে থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরো ত্রাণ দেয়া হবে। কেউ না খেয়ে থাকবে না।