এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছা উপজেলার আওতাধীন রাড়ুলী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় পাওবোর ১৬ নং পোল্ডারের প্রায় আধা কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধটি হুমকির মূখে পড়েছে। পুরাতন এ ওয়াপদাটির অবস্থা নাজুক হওয়া ও নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় ওয়াপদার বেশ কয়েকটি স্থান ছাপিয়ে পোল্ডার অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি।

স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কোন রকম ঠেকিয়ে রাখলেও আগামী পূর্ণিমা গোণে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় ঘের মালিক ও এলাকাবাসী। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১৬ নং পোল্ডার চরের বিলের প্রায় ১৬শ বিঘা জমির জন্য পাওবো বেঁড়িবাঁধটিই একমাত্র ভরসা। এখানে রয়েছে ৫০/৬০ টি ছোটবড় মাছের ঘের। প্রায় ১শ বিঘা জমির বোরো আবাদ, ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫টি পোল্ট্রী ফার্ম সহ জনবসতি।

ভুক্তভোগীরা জানান, নদীর পানির চাপে, প্রতিবছর ওয়াপদার রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেঁড়িবাঁধ সরু হয়ে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে পানির ঢেউয়ের আঘাতে অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা নিজ উদ্যোগে ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কিছুটা ঠেকিয়ে রাখলেও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা। সময় মত জরুরী পদক্ষেপ না নিলে এলাকা প্লাবিত হয়ে লীজ ঘের, ফসলী ক্ষেত, রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হবে।

সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানে করোনাভাইরাস এর কারণে শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, এক কথায় জনজীবন স্থবির। তার উপর বেঁড়িবাঁধ টি হুমকির কারণে তারা আরও ভীতি সম ভ্রস্থ হয়ে পড়েছে। ঘের মালিক আজিজুল হক সানা জানান, আগামী পূর্ণিমার গোনে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, এতোদিনে নিজেদের উদ্যোগে ঠেকানো গেলেও নদীর তলদেশ উঁচু হওয়ায় জোয়ারের পানি ঠেকানো আমাদের পক্ষে যথেষ্ট নয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু সহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে এস ও ফরিদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। বেঁড়িবাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে তিনি জানান।