শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ০৭মে ২০২০ঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণে আতঙ্ক নয়, সচেতন হই এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে চলছে সন্দেহজনকভাবে কেভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহের কাজ। কালীগঞ্জ উপজেলাজাত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজ চলমান থাকলেও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ অনেকে আক্রান্ত হওয়ায় সন্দেহজনক কেভিড-১৯ নুমনা সংগ্রহের স্থবিরতা দেখা দেয়। অনেকে ভয়ে এবং অনীহার কারণে হাসপাতালে এসে নমুনা দিতে চাচ্ছেন না।তাই কালীগঞ্জবাসীকে করোনাভাইরাস মুক্ত রাখতে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে শুরু হয়েছে সন্দেহজনক কেভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহের কাজ। শুধু শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহে ৬ দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নেয়া হবে নমুনা।

যেই ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস উপসর্গ দেখা যাবে, সেই ব্যক্তি বা তার পরিবার কোনো ধরনের আতঙ্কিত না হয়ে নিজ ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে নুমনা পরীক্ষা করাতে পারবেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপিগণ করোনার নুমনা সংগ্রহ করে তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো নিয়ে আসবেন তারা। সেই নমুনা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কজেল হাসপাতালে পাঠানো হবে পরেরদিন। সেই রিপোর্ট পেতে ২/৩ দিন সময় লাগবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

যেই সব ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নমুনা সংগ্রহ করা হবে-জাঙ্গালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, মোক্তারপুর ইউনিয়নের বাঘুন কমিউনিটি ক্লিনিক, জামালপুর ইউনিয়নের কাপাইশ কমিউনিটি ক্লিনিক, বক্তারপুর ইউনিয়নের বেরুয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক, তুমলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী কমিউনিটি ক্লিনিক ও নাগরী ইউনিয়নের রয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ছাদেকুর রহমান আকন্দ জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রা ও সাতটি ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের মানুষদের করোনা নমুনা সংগ্রহ করবেন তারা। করোনার নমুনা দেয়ার জন্য ইউনিয়নবাসী কষ্ট করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো আসতে হবে না । তারা তাদের নিজ নিজ ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে নমুনা দিতে পারবেন। সেই নমুনা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কজেল হাসপাতালে পাঠানো হবে পরেরদিন। সেই রিপোর্ট পেতে ২/৩ দিন সময় লাগবে।