প্রধান মেনু

নীলফামারীর ডোমার বীজ উৎপাদন খামারে রোগ প্রতিরোধী জাতের আলু চাষে সাফল্য

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারী জেলার ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে লেট ব্লাইট প্রতিরোধী আলু চাষ করে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন খামারের উপ-পরিচালক এনামুল হক। ব্যাপক গবেষনার পর জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি) উন্নত মানের লেট ব্লাইট প্রতিরোধি যে আলুর জাতগুলি প্রকাশ করেছে সেগুলির মধ্যে ১৯/২০ অর্থ বছরে খমারে প্রায় দশ একর জমিতে পরিক্ষামুলক ভাবে দশটি জাতের লেট ব্লাইট প্রতিরোধি আলু রোপন করা হয়েছে। আলু গুলি আমাদের দেশের আবহাওয়ার সামঞ্জস্য হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ও রয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারের পরিচালক এনামুল হক।

এনামুল হক আরও জানান, আলুর লেট ব্লাইট রোগ আলু চাষিদের জন্য অভিশাপ। এই রোগ আলু ক্ষেতগুলিকে অতি দ্রুত নষ্ট করে দেয়। সে কারনে আমাদের দেশের কৃষকদেরকে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য ম্যাঙকোজেব গ্রুপের ওষুধ কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বার স্প্রে করতে হয়। আর এজন্য কৃষকদের একর প্রতি বাড়তি ব্যয় হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর আমাদের নেদারল্যলন্ড থেকে আমদানি করা ক্যারোলাস (সাদা) ও এলুইটি (লাল) এই লেট ব্লাইট প্রতিরোধি আলু দুটিকে আমাদের এই খামারে বারি-৯০ ও বারি ৯১ হিসেবে চাষ করা হয়েছে। জাত গুলি হল, কুইনএ্যানি, ম্যানসাইন, প্রডো, আল্ট্রা, ল্যাবেলা (লাল) সান্তনা, ইনোভেটর, এলকেন্ডার, ক্যারোলাস (সাদা), এলুইটি (লাল)।

এই আলু উৎপাদনে কোন প্রকার ম্যাঙকোজেব গ্রুপের ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন না হওয়ায় তা উৎপাদনে খরচ অনেক কম হবে। সে কারনে আমাদের দেশের কৃষকদের মাঝে এর চাহিদাও অনেক বেশি হবে বলে আমরা মনে করি। চলতি মৌসুমে ডোমার ভিত্তি আলু বীজ উৎপাদন খামারে ২৪৭.৫৪ একর জমিতে ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এস্টারিক্স, গ্রানুলা, কারেজ ও লেডিরোয়েট সহ মোট ছয়টি জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে মিনিটিউবার ৯.৩৫ একর, প্রাক ভিত্তি/ব্রিডার ৫৭.৭২ একর, ভিত্তিবীজ ১৭৭.৭২ একর, টিপিএস ০.২৫ একর, সিডলিং টিউবার ০.৫০ একর, ট্রায়াল ও অন্যান্য ১.০০ একর, জার্মপ্লাজম ১.০০ একর জমিতে আলু চাষ করা হয় এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৬৫১.২২ মেট্রিকটন থাকলেও এবারের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তা ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন উপ-পরিচালক এনামুল হক।