গাংনীর বাঁধাকপির বিদেশ যাত্রা

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী: মেহেরপুরের গাংনীর চাষীদের ভাগ্য পরিবর্তনের আরো এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এখানকার চাষীদের উৎপাদিত বাঁধাকপি নিরাপদ সবজি হিসেবে যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় । যার মধ্য দিয়ে সবজি চাষের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। স্বল্প বিনিয়োগে অধিক মুনাফার আশায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাতে সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। দেশের সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে গাংনীর চাষিদের। এ খানে চাষ করা হয় বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি যা বিদেশে রপ্তানি করা গেলে চাষীরা যেমনি উপকৃত হবেন তেমনি বাড়বে বৈদেশিক আয়। চলতি মৌসূমে ৪৪ মেট্রিক টন বাঁধা কপি পাঠানো হয়েছে মালয়েশিয়ায়।
রপ্তানিতে বাঁধাকপি বিক্রি করে বেশি লাভ পেয়েছেন চাষীরা। সাহারবাটির সবজি চাষি শাহিন জানান, বিঘা প্রতি ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ পাওয়া সম্ভব। স্বল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়া যাচ্ছে বাঁধা কপি চাষে। অন্যান্য ফসলের থেকে বাঁধা কপি চাষে লাভ বেশি। আর একাজে সহায়তা করছে এগ্রো ফ্রেশ নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি ও বিদেশ রপ্তানী শুরু হওয়ায় চাষিদের মাঝে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান কৃষক তহশিন ও শান্ত। রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার রুবেল হোসেন জানান, গাংনী অঞ্চলে শতাধিক কৃষকের মাধ্যমে ৫০ হেক্টর জমিতে নিরাপদ উপায়ে বাঁধাকপি চাষ করা হয়।
এবারে রপ্তানিতে সফল হলে আগামি বছর আরো অনেক সবজি রপ্তানি করা সম্ভব হবে। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির এ সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ঠ সকলের নজর রাখতে হবে। তাহলে দেশের উদ্বৃত্ত সবজি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।