প্রধান মেনু

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ বিধিলঙ্ঘনের শামিল —তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘কোনো নির্বাচন নিয়ে এবং নির্বাচনি প্রচারের ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে বিদেশিদের সামনে নালিশ উপস্থাপন করাও একপ্রকার নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। তাদের নালিশ থাকলে সেটি জনগণ বা ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করতে পারেন।’  আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ‘বিএনপি’র বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ও প্রচার নিয়ে নানা অভিযোগ’ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বিএনপি আদালতে ইভিএমের বিরুদ্ধে নালিশ করতে গিয়েছিল। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। যেখানে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি, একই নালিশ আবার বিদেশিদের সামনে উপস্থাপন করা, এটা তো আদালত অবমাননার শামিল।’  ‘ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে বাক্সে ভরা, এ অভিযোগগুলো করার কোনো সুযোগ থাকে না, ফলাফলও দ্রুত পাওয়া যায়’ উল্লেখ করে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইভিএম ব্যবহারের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই আধুনিক প্রযুক্তিতে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা বিএনপি কেন করছে, সেটি আমার বোধগম্য নয়। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তথ্যফাঁসের অজুহাতে বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল গ্রহণ করেননি। পরে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আমাদেরকে সেই সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে হয়েছে। ইভিএমের ক্ষেত্রেও তাদের মানসিকতাটা ঠিক এরকম।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি, ইভিএমে ভোট গ্রহণ যেখানে যেখানে হয়েছে সেখানে বিএনপি যে খারাপ করেছে তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে তারা খুব ভালো ফলাফল করেছে। এখন ইভিএম নিয়ে কেন তারা আপত্তি তুলছে, সেটি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। সম্ভবত প্রযুক্তিকে ভয় পায় অথবা নির্বাচনে পরাজয়ের আভাস লক্ষ্য করে তারা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য নানাধরণের অভিযোগ তুলে এখনই নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এগুলো উপস্থাপন করছে।’ এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে, ‘দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’ জানান তথ্যমন্ত্রী।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নির্বাচন কমিশনেই লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই’ এ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ, যেমন হাইকোর্টের বিচারপতিও সাংবিধানিক পদ। হাইকোর্টের কোনো বিচারপতি যেমন তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় কখনো জনসম্মুখে উপস্থাপন করেন না। কারণ সেটি নিয়ম নয় এবং সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমীচীন নয়, কারণ এগুলো একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলাই বাঞ্ছনীয়। সেটি জনসম্মুখে বলা সাংবিধানিক পদধারী হিসেবে তিনি যে শপথ নিয়েছে সেই শপথের বরখেলাপ কি না, সেই প্রশ্ন অনেকেই রেখেছেন।’