রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বীমা মেলা-২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘বীমা মেলা ২০১৯’ খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সম্মানিত গ্রাহকসাধারণ এবং বীমা সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বীমা শিল্প বিশ্বে আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম একটি সেবা ব্যবস্থা। বীমা শিল্প, বাণিজ্য, ব্যবসা ও ব্যক্তিকে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির বিপরীতে বীমা সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের বীমা কোম্পানিসমূহকে রাষ্ট্রীয়করণ করেন এবং তখন থেকেই বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ক্রমাগত বাড়ছে। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। এসব শিল্প ও সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট সম্পদের অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বীমা বিশ্বব্যাপী একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা।

দেশের টেকসই উন্নয়নে বিভিন্ন আর্থিক খাত বিশেষ করে বীমা খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব অর্জন অপরিহার্য। বীমা খাতের উন্নয়নে উদ্ভাবনী বীমা পলিসি বিপণনের কাজে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্রবীমা উদ্ভাবনী পলিসির প্রচলন বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি। ‘বীমা মেলা ২০১৯’ আয়োজনের মাধ্যমে দেশে বীমা খাতের প্রচার এবং প্রসার ঘটবে – এটাই সকলের প্রত্যাশা। আমি ‘বীমা মেলা ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”