ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবাসন দিবস এবং জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা উদ্যাপন

আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের ক্ষণ গণনার উদ্বোধন যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসাহ উদ্দীপনায় উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের ক্ষণ গণনার উদ্বোধনের মুহুর্তে হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যগণ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা-সহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণ যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ইতোমধ্যে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে এ-আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের ক্ষণ গণনা মুহুর্তের সাথে একযোগে বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়।