রাজনৈতিক সমস্যা বিএনপি’র মধ্যে, দেশে নয় — তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নেই, সমস্যা-সংকট বিএনপি’র মধ্যে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, কিন্তু বিএনপি খুশি হতে পারেনি, কারণ বিএনপি’র দাবিগুলো একান্ত নিজের, জনগণের বিষয় নয়। সে কারণে বিএনপি হতাশ হয়েছে, কিন্তু দেশের মানুষ খুশি হয়েছে।’ আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি- ডিআরইউ এর নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকরা ‘বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে জাতি হতাশ হয়েছে’-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, অভিনন্দন জানিয়েছে, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশ কিভাবে এগিয়ে গেছে, সেটি যেমন ব্যাখ্যা করেছেন তেমনি দেশকে কিভাবে আরো এগিয়ে নিতে চান, সেটিও বলেছেন। দুর্নীতি, অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে যে অভিযান তিনি শুরু করেছেন, সেটি যে অব্যাহত থাকবে তাও জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি এটিও বলেছেন, সবক্ষেত্রে যে সাফল্য এসেছে তা নয়, কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের পক্ষপাতিত্ব করছেন’- বিএনপি’র এ অভিযোগ তুলে ধরলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলোতে বিএনপি’রই সুবিধা হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের অসুবিধাই হচ্ছে। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিক সাহেবকে নির্বাচন কমিশন নোটিশ দিয়েছে, বিএনপি’র প্রার্থীকে দেয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘লক্ষ্য করবেন, আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো মন্ত্রী এমনকি এমপিরাও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যান্য দেশে বিষয়টি এমন নয়। ভারত, ব্রিটেনসহ অন্যান্য অনেক দেশেই মন্ত্রী, এমপিরা তাদের পদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও প্রটোকল না নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলোতে বরং বিএনপি’রই সুবিধা হচ্ছে।’ তথ্যমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদেরকে অত্যন্ত মেধাবী বলে উল্লেখ করে বলেন, একজন সাংবাদিক সমাজের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবচেয়ে সাংবাদিকবান্ধব। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট যেমন গঠন করেছি, তেমনি আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইন প্রণয়নে কাজ করছি, যা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সহ-সভাপতি নজরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী’র নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ এ সময় তথ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ডিআরইউ’র যুগ্ম-সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাফর ইকবাল, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য মঈনুল আহসান, এস এম মিজান, আহমেদ মুশফিক নাজনীন, কামরুজ্জামান বাবলু, মোঃ ইমরান হাসান মজুমদার, মুরাদ হোসেন এবং সায়ীদ আবদুল মালিক সভায় অংশ নেন।