নয়টি সংস্থাকে সম্মাননা প্রদান করবে বস্ত্র মন্ত্রণালয়

আগামী বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ এর মূল অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রপ্তানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯টি এসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় । বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান । বস্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ৯-১১ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী বহুমুখী বস্ত্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটির উদ্বোধন করবেন ।
ব্রিফিং-এ জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাকখাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে। বস্ত্র ও পাট সচিব বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করছে। বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় ৫০ লাখ লোক কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ নারী। সরকার বস্ত্রখাতের সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনের সাথে সমন্বয় করে বস্ত্রশিল্পকে স্থিতিশীল রাখার কার্যক্রম গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিতকরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্রের চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি এখাতে চাহিদাভিত্তিক মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে বস্ত্র আইন, ২০১৮ ও বস্ত্রনীতি, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, সরকার স্বল্প খরচে বস্ত্রখাতের জন্য দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজার এবং প্রযুক্তিবিদ ও বস্ত্র প্রকৌশলী তৈরি করে চাহিদা অনুযায়ী শিল্প কারখানায় দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে । বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিঃ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন ।